করল্লার পুষ্টিগুণ কী কী জেনে নিন !
করল্লার পুষ্টিগুণ কী কী জেনে নিন |
করল্লা জন্মায় ট্রপিক্যাল দেশগুলিতে। যেমন- এশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা, ক্যারিবীয় দ্বীপপূঞ্জ, দক্ষিণ আমেরিকা। করল্লা স্বাদে তিতা, তবে উপকারী অ-নে-ক। এশিয়া অঞ্চলে হাজার বছর ধরে এটি ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
দক্ষিণ আমেরিকার আদিবাসীরা করল্লাকে ডায়াবেটিস, পেটের গ্যাস, হাম ও হেপাটাইটিসের ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করে আসছে।
⇛ করল্লার পুষ্টিগুণ জেনে নিন
ব্যবহার করে আসছে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, ম্যালেরিয়া জ্বরে এবং মাথা ব্যথায়ও। করল্লায় আছে পালং শাকের চেয়ে দ্বিগুণ ক্যালশিয়াম আর কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম। আছে যথেষ্ট লৌহ, প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং আঁশ।ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এন্টি অক্সিডেন্ট; বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখে, শরীরের কোষগুলোকে রক্ষা করে। করল্লা অন্ত্রনালী কর্তৃক গ্লুকোজ শোষণ কমায়। রক্তের সুগার কমাতে করল্লা ওষুধের চেয়েও বেশি কার্যকর।
অনেক গবেষণাই করল্লাকে ডায়াবেটিস চিকিত্সায় কার্যকর প্রমাণ করেছে। ফিলিপাইনে ডায়াবেটিস চিকিত্সায় ভেষজ ওষুধ হিসাবে করল্লা অনুমোদিত।
যেগুলো রক্তের সুগার কমিয়ে ডায়াবেটিসে উপকার করে। এগুলো হচ্ছে চ্যারান্টিন, ইনসুলিনের মত পেপটাইড এবং এলকালয়েড।
তিতা করল্লা অগ্নাশয়ের ইনসুলিন নিঃসরণকারী কোষ ‘বিটা সেল’- এর সংখ্যা বৃদ্ধি করে। তাই করল্লা অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ করায় বলে ধারণা করা হয়। করল্লা ইনসুলিন রেজিস্টেন্স কমায়।
করলা এডিনোসিন মনোফসফেট অ্যাকটিভেটেড প্রোটিন কাইনেজ নামক এনজাইম বা আমিষ বৃদ্ধি করে রক্ত থেকে শরীরের কোষগুলোর সুগার গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের কোষের ভিতর গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়াও বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের সুগার কমে যায়।
⇛ করল্লা যেসব উপকার করে
রক্তের চর্বি তথা ট্রাইগ্লিসারাইড কমায় কিন্তু ভাল কলোস্টেরল এইচ.ডি.এল বাড়ায়, রক্তচাপ কমায়, ক্রিমিনাশক, ভাইরাস নাশক-হেপাটাইটিস এ, হারপিস ভাইরাস, ফ্লু, ইত্যাদির বিরুদ্ধে কার্যকর।এছাড়াও ক্যান্সাররোধী-লিভার ক্যান্সার, লিউকোমিয়া, মেলানোমা, ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।
ল্যাক্সেটিভ (Laxative)- পায়খানাকে নরম রাখে, কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে, জীবাণুনাশী-বিশেষ করে ই-কোলাই নামক জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্য়কর ভূমিকা রাখে।
WEBSITE: ripon420.blogspot.com
DHAKA, BANGLADESH
Comments
Post a Comment