পানি ও মধু একসঙ্গে খেলে ক্যান্সারসহ বহু রোগ থেকে মুক্তি পাবেন !

পানি ও মধু একসঙ্গে খেলে ক্যান্সারসহ বহু রোগ থেকে মুক্তি পাবেন !


পানি ও মধু
পানি ও মধু 

মধুতে আছে প্রোটিন, উপকারী এনজাইম, অ্যামাইনো অ্যাসিড, নানাবিধ মিনারেল, ভিটামিন, পলিফেনল, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, জিঙ্ক এবং ফলিক অ্যাসিড। এসব উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর নানা রোগ প্রতিরোধ করে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে মধু এবং পানি একসঙ্গে খেতে হবে। তাহলেই মুক্তি পাবেন বহুবিধ রোগ থেকে।

মধু মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক অপূর্ব নেয়ামত। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং যাবতীয় রোগ নিরাময়ে মধুর গুণ অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ (সা.) একে ‘খাইরুদ্দাওয়া’ বা মহৌষধ বলেছেন। আয়ুর্বেদ এবং ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুকে বলা হয় মহৌষধ। 

এটা যেমন বলকারক, সুস্বাদু ও উত্তম উপাদেয় খাদ্যনির্যাস, তেমনি নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্রও। আর তাই তো খাদ্য ও ওষুধ এ উভয়বিধ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ নির্যাসকে প্রাচীনকাল থেকেই পারিবারিকভাবে ‘পুষ্টিকর ও শক্তিবর্ধক’ পানীয় হিসেবে সব দেশের সব পর্যায়ের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে ব্যবহার করে আসছে। 

মধুতে যেসব উপকরণ রয়েছে তন্মধ্যে প্রধান উপকরণ সুগার। সুগার বা চিনি আমরা অনেকই এড়িয়ে চলি। কিন্তু মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ এ দুটি সরাসরি মেটাবলাইজড হয়ে যায় এবং ফ্যাট হিসাবে জমা হয় না।


আসুন জেনে নিই পানি ও মধু এক সঙ্গে খাওয়ার উপকারিতা:-

১) নিয়মিত এক গ্লাস পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে হজম ক্ষমতা ঠিক থাকবে। সেই সঙ্গে মধুতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপও কমবে।


২) শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যে কারণে একদিকে যেমন ক্যানসারের মতো মারণ রোগ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি ইমিউনিটি এতটা বেড়ে যায় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়।

৩) নিয়মিত এক গ্লাস পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে ব্রণের প্রকোপ তো কমেই, সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় পাবে। ত্বকের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৪) ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। পরিমাণ মতো পানিতে মধু মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে হজম ক্ষমতার উন্নতি হয়। ডায়াবেটিসের মতো রোগ হওয়ার আশঙ্কা দূর করে।

৫ ) নিয়মিত মধু পানি খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি এমন কিছু উপাদানের প্রবেশ ঘটে যে তার প্রভাবে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা তো কমেই, সেই সঙ্গে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৬) মধু-পানি খাওয়া শুরু করলে শরীর, ভেতর এবং বাইরে থেকে এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে অ্যালার্জির মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

Comments